পঁয়ত্রিশে পা দিলেন বলিউডের রানি। এক দশক বলিউডের ছবিতে একচেটিয়া অভিনয় করেছেন তিনি। সাবলীল অভিনয় দক্ষতার জন্য বহুবার প্রশংসিত হয়েছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী।
`বিয়ের ফুল` বাংলা ছবিতে যাত্রা শুরু রানির। ১৯৯৭ সালে `রাজা কি আয়েগি বারাত` ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। বলি-কেরিয়ারের শুরুতেই করণ জোহরের `রমকম` ছবি `কুছ কুছ হোতা হ্যায়`তে কাজলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে দর্শকদের মন কেড়েছিলেন। ছবিতে কাজলের আলোকচ্ছটা সত্ত্বেও সুযোগমতো নিজের `ট্যালেন্ট` দেখিয়ে চমকে দিয়েছিলেন রানি। এর পর ২০০৫ সালে শাহরুখ-রানি জুটির `পহেলি` ছবিটি বক্স অফিসে সফল না-হলেও ভারত থেকে অস্কারের জন্যও পাঠানো হয়েছিল।
বলিউডের তিন খানের সঙ্গে অভিনয় করে টিনসেল টাউনে মোটামুটি জাঁকিয়ে বসেছিলেন রানি। `কুছ কুছ হোতা হ্যায়`, `হে রাম`, `চলতে চলতে`, `বীরজারা`, `কাভি আলবিদা না কেহনা`র মতো ছবিগুলো শাহরুখের বিপরীতে রানিকে রাজকীয়ভাবেই বরণ করে নিয়েছিল সবাই। আমির খানের বিপরীতে `গুলাম` ছবিতে এবং `হ্যালো ব্রাদার` ছবিতে সলমনের বিপরীতে অভিনয় করে বলিউডকে নিজের দখলে রেখেছিলেন রানি। এরপর একের পর এক ছবিতে নতুন নতুন ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। `সাথিয়া` ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর `ক্রিটিক্স` অ্যাওর্য়ড-সহ সেই বছরের বহু পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে তিনি ৪টি বড় ব্যানারের ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি- সঞ্জয় লীলা বনসালির `ব্ল্যাক`, শাদ আলির `বান্টি অওর বাবলি`, আমোল পালেকরের `পহেলি` ও কেতন মেহতার `মঙ্গলপান্ডে-দ্যা রাইসিং`। `ব্ল্যাক`-এ রানির অভিনয় সকলের মনে দাগ ফেলেছিল। ছবিটি সমালোচক ও দর্শকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সেই বছরের সেরা অভিনেত্রীর সমস্ত পুরস্কার জিতে নতুন নজির গড়েছিলেন রানি।
বেশ কিছু সময় ধরে দর্শকদের `হিট` ছবি দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এই বাঙালি নায়িকা। ২০১১ সালে `নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা` ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করে ফের বলিউডে নিজের খুঁটি মজবুত করেছেন তিনি।
চলতি বছরে মুক্তি পাবে রীমা কাগতি পরিচালিত ছবি `তালাশ`। আমির খান ও করিনা কাপুরের সঙ্গে `স্ক্রিন শেয়ার` করবেন রানি। তলাশেই রানির সাফল্যের তলাশ শেষ হয় কি না, জানতে উত্সাহী ভক্তরা। ইতিমধ্যেই এই ছবি ঘিরে দর্শকদের উত্সাহ তুঙ্গে। জন্মদিনে রানির জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা ও তাঁর আগামী ছবির জন্য শুভকামনা।
0 comments:
Post a Comment